ডেস্ক নিউজ : বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণ, গণহত্যার কালরাত্রি, বঙ্গবন্ধু কতৃক স্বাধীনতা ঘোষণা; অতঃপর রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের শুরু। জাতির ইতিহাসে এতগুলো মহা তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনাবহুল মাস মার্চ।
১৯৭১ সালের ৭ মার্চে তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে জাতির পিতা বলেছিলেন, “সাত কোটি মানুষকে দাবায়ে রাখতে পারবা না। মরতে যখন শিখেছি, তখন কেউ আমাদের দাবায়ে রাখতে পারবে না। রক্ত যখন দিয়েছি , আরো দেবো। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়বো- ইনশাল্লাহ। এবাররে সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।”
গত বছরের ৩০ অক্টোবর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের শিক্ষা বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো।
এবারের মার্চ মাসে তাই বিভিন্ন অনুষ্ঠান পালনে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। ৭ মার্চ উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ।
বাঙালির কণ্ঠ চিরতরে স্তব্ধ করতে ৭১’র ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদারেরা অপারশেন সার্চলাইটের মাধ্যমে গণহত্যা চালায়। সে রাতে ঢাকায় নির্বিচিারে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করে পাক বাহিনী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্নি শিক্ষা প্রতষ্ঠিানে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষককে হত্যা করে।
রাত একটার অল্প কিছু পরে বঙ্গবন্ধুকে পাকিস্তানি সেনারা তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। ওই মুহুর্তে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু।
এ মাসেই জাতি এবার পালন করবে মহান স্বাধীনতার ৪৭ বছর। এ উপলক্ষে মাসের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার থেকেই শুরু সভা সমাবেশ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। নানা আয়োজনে মাসব্যাপী মুখরিত থাকবে গোটা দেশ।